Posts

Showing posts from November, 2018
Image
দুই বন্ধুর মরুভূমি দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুই বন্ধু মরুভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। কিছুক্ষন যাত্রার পর তাদের দুইজনার মধ্যে ঝগড়া হয় এবং এক বন্ধু আরেকজনকে থাপ্পড় মেরে বসে। যে থাপ্পড় খেয়েছিল সে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলল না, শুধু বালিতে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমাকে চড় মেরেছে”। এরপর তারা হাঁটতে থাকল এবং কিছুক্ষন পর একটি মরুদ্যান দেখতে পেল। তারা ঠিক করল সেখানে তারা বিশ্রাম নিবে এবং গোসল করবে। কিন্তু যেই বন্ধুটি চড় খেয়েছিল সে চোরাবালিতে আটকে পরে ডুবতে শুরু করে, তখন অপর বন্ধুটি তাকে বাঁচায়। উদ্ধার পাওয়ার পর সে পাথরে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমার জীবন বাঁচিয়েছে”। তখন অপর বন্ধুটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, আমি যখন তোমাকে চড় মেরেছিলাম তখন তুমি বালির উপর লিখেছিলে আর এখন পাথরের উপর লিখলে, কেন?” উত্তরে সে বলল, “যখন কেউ আমাদের আঘাত করে তখন তা আমাদের বালির উপর লিখে রাখা উচিত, যেন ক্ষমার বাতাস তা সহজেই উড়িয়ে নিয়ে মুছে দিতে পারে। আর যখন কেউ আমাদের কোন উপকার করে তখন তা পাথরে খোদাই করে রাখা উচিত, যেন কোন বাতাসই তা কখনো মুছে দিতে না পারে”।
Image
সবাই কে এক পালায় মাপা উচিত নয় আমি ছ্যাকা খেয়ে দুই দিন মন খারাপ করে ছিলাম । আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি কষ্টে মরেই যাবো । এতো এতো কষ্ট পেয়েছিলাম । বাঁচলাম কি করে ? আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে খুব সমীহ করতো । ঐ ফোন দিয়ে শান্তনা দিতো আমাকে । কথায় বলেঃ এক নারী জাহান্নামে নিতে পারে ,আবার আরেক নারী পারে জান্নাতে নিতে । আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবীর নাম ছিলো মিতু । তার একটি কথাই আমাকে বদলে দিয়েছিলো । সে বলেছিলো ভাইয়া আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তবে একদিন আপনি ল্যাপস হয়ে যাবেন । আপনি যদি ল্যাপস হয়ে যান তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে হাসবে । এবং সে বলবে উফ খুব বাঁচা বেঁচে গেছি । ঐ ছেলের সাথে থাকলে আজ আমার করুণ পরিণতি হতো । অর যদি আপনি নিজেকে খুব ভালো ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে খুব আফসোস করবে । আর বলবে হায় আল্লাহ আমি ভুল করেছি ! মিতুর এই একটি কথাই আমার চেতনাকে উজ্জীবিত করেছিলো । মিতুর কথার ভিতর কি একটা যেনো জাদু ছিলো । মিতুকে আমি বোন ডাকতাম । আমি যখনি দৌড়াতে দৌড়াতে হাফিয়ে উঠতাম ঠিক তখনি মিতু আপুর কথা আমার কানে বাজতো । আমি যেনো তখ
Image
অসহায় ভালবাসা একদা জীবনের সব আবেগ অনুভূতিগুলো ((ভালোবাসা, কষ্ট, সুখ, অহমিকা, ঐশ্বর্য্য, জ্ঞান এবং সময়)সমূদ্রের এক দ্বীপে অবসরে ভ্রমনে গেলো। তারা তাদের নিজেদের মতই ভালো সময় কাটালো। হঠাত করে ঝড়ের পূর্বাভাস ঘোষনা করা হলো এবং দ্বীপটি খুব দ্রুত খালি করতে বলা হলো। ঘোষনার সাথে সাথে সবার মাঝে ঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয়ে গেল। সবাই নৌকার দিকে ছুটলো, খারাপ নৌকাগুলোও দ্রুত ভালো করা হলো। এতকিছু পরও ভালোবাসা দ্রুত দ্বীপটি ছেড়ে যেতে অনীহা দেখালো। তখনই অনেক কিছু করার বাকি ছিলো। আকাশে হঠাত কালো মেঘ জমতে শুরু করলো। তখন ভালোবাসা বুঝতে পারলো যে দ্বীপটি দ্রুত ত্যাগ করার সময় এসে গেছে। কিন্তু ততক্ষনে সব নৌকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। ভালোবাসা চারদিকে আশা নিয়ে তাকালো। তখনই ঐশ্বর্য পাশ দিয়ে একটি আলিশান নৌকায় করে যাচ্ছিলো, ভালোবাসা চিতকার করে বললো ঐশ্বর্য আমাকে কি তোমার নৌকায় নিতে পারবে? ঐশ্বর্য বললো না, আমার নৌকা মূল্যবান সম্পদে পরিপূর্ণ, সোনা, রূপা দিয়ে ভর্তি সেখানে তোমার জন্য কোন জায়গা খালি নেই। খানিকপরে অহমিকা যাচ্ছিলো একটি সুন্দর নৌকায় চড়ে। ভালোবাসা চিতকার করে বললো, তুমি কি আমাকে সাহায্য করতে পারবা? অহমিকা
Image
একজন টিচার তার ছাত্র-ছাত্রী একজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন… ‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’ শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,’কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’ শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’ ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে। তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে
Image
প্রয়োজন ফুরালে কি আশ্রয় বৃদ্ধাশ্রম? একটা গল্প , হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা। দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?" "তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো", বাবা উত্তর দেয়। "কেন?", ছেলেটা অবাক হয়। "কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে? তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। " "ওহ!", কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, "ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে। "কেন", একটু অবাক হয় বাবা। "কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা।
Image
এক যাদুকর ও এক মেয়ের গল্প পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিল একটি জাদুকর । হঠাত তার চখে পরল একটি যুবতি মেয়ে কাঁদছে । তাই দেখে জাদুকর বলল- জাদুকরঃ আপনাকে কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি ? মেয়েটিঃ আমাকে সাহায্য করতে পারে শুধু অলৌকিক কোন ঘটনা ! জাদুকরঃ অলৌকিক ঘটনা ! এ তো আমার আওতায় । আমি জাদুকর, আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরন করতে পারব । বলুন এক এক করে । মেয়েটিঃ আমি রূপবতী নই ।কিন্তু জানেন এত ইচ্ছা করে যেন পুরুষেরা আমাকে দেখেই পাগল হয়ে যায় ! জাদুকর তার একটি দাড়া ছিরে তার মন্তর পরতে লাগল । সাথে সাথে মেয়েটির ইচ্ছা পূরন হয়ে গেল । তার পরের ইচ্ছা বলার জন্য বলা হল । মেয়েটি বলল- মেয়েটিঃ শুধু সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে ! আমার অর্থ সম্পদ নেই, নেই নিজের বাড়ী । আমাকে কে পছন্দ করবে ? জাদুকর তার জন্য শহরের মাঝখানে একটি রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিল । এবার শেষ ইচ্ছার পালা । মেয়েটি কে বলা হল তার শেষ ইচ্ছার কথা বলতে । এবার মেয়েটি ভাবতে লাগল এই জাদুকর কে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে আমি ৩ টি জিনিস কেন সারা জীবন যত খুশি চেয়ে নিতে পারব । এবার মেয়েটি বলল- মেয়ে: আমার শেষ ইচ্ছা তোমায় আমি বিয়ে করব । এ কথা শুনে জাদুকর পরল মহা বিপ
Image
কোন কিছু দেখেই প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না স্বামী আর স্ত্রী বেড়াতে গেল চিড়িয়াখানায়। তারা দেখল একটি বানর তার সঙ্গীনির সাথে খেলছে, খুনসুটি করছে। স্ত্রী দৃশ্যটা দেখে মুগ্ধ হয়ে স্বামীকে বলল: কী চমৎকার ভালোবাসার দৃশ্য! এরপর তারা গেল সিংহদের খাঁচার কাছে। দেখল: সিংহ খাঁচার একপাশে চুপচাপ বসে আছে। সিংহীটাও অদূরে অন্য দিকে ফিরে বসে আছে। স্ত্রী দেখে বলল: আহ! ভালোবাসার কী নির্মম পরিণতি! স্বামী এতক্ষণ চুপচাপ স্ত্রীর পাশে হাঁটছিল। এবার নীরবতা ভঙ্গ করে বললেন: ধরো! এই কাঁচের টুকরাটা সিংহীর দিকে ছুঁড়ে মারো, আর দেখো কী ঘটে! মহিলাটি যখন কাঁচের টুকরোটা ছুঁড়ে মারল, সিংহ ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। সঙ্গীনিকে বাঁচানোর জন্য গর্জে উঠল। এবার মেয়ে বানরটার দিকে ছুঁড়ে মারো। দেখ কী ঘটে। পুরুষ বানরটার আচরণ লক্ষ্য কর। স্ত্রী কাঁচের টুকরোটা বানরীর দিকে ছুঁড়ে মারল। দেখা গেল ছুঁড়ে মারার আগেই বানরটা আত্মরক্ষার্তে ছুটে পালিয়ে গেল। সঙ্গীনির দিকে ফিরেও তাকাল না। স্বামী বলল: মানুষ তোমার সামনে যা প্রকাশ করে তা দেখে প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের বানোয়াট লোক দেখানো আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে অন্যকে
Image
কোন কিছুই আপনার উন্নতির পিছনে বাঁধা হতে পারে না রবীন্দ্রনাথ স্কুল পালিয়েছেন। নজরুল তো বেশি পড়তেই পারলো না। লালন তো বুঝলই না স্কুল কি? আজ মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করছে। আন্ড্রু কার্নেগীকে তো ময়লা পোশাকের জন্যই পার্কেই ঢুকতে দেয় নি। ৩০ বছর পরে উনি সেই পার্কটি কিনে ফেলেন আর সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন "সবার জন্য উন্মুক্ত"। স্টিভ জব শুধু মাত্র ১ দিন ভাল খাবারের আশায় ৭ মাইল দূরে পায়ে হেটে গির্জায় যেতেন। ভারতের সংবিধান প্রণেতা বাবা আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হিন্দু ছিলেন বলে স্কুলের বারান্দায় বসে বসে ক্লাস করতেন। কোন গাড়ি তাঁকে নিতেন না। মাইলের পর মেইল হেঁটে পরীক্ষা দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বাজার থেকে চাঁদা তুলে পড়া লেখা করেছেন। উনি সবার ঋণ শোধ করতে পারলেও ওই চাঁদার টাকা শোধ করতে কোন দিন সাহস পান নি। সুন্দর চেহারার কথা ভাবছেন?শেখ সাদী (র) এর চেহারা যথেষ্ট কদাকার ছিল, লতা মুংগেস্কারের চেহারা মোটেই সুশ্রী নয়। তৈমুর লং খোঁড়া ছিলেন, নেপোলিয়ন বেটে ছিলেন। শচীন টেল্ডুল্কারের উচ্চতা তো জানাই আছে। আব্রাহাম লিঙ্কনের মুখ ও হাত যথেষ্ট বড় ছ
Image
বন্ধু তোমার প্রতিদান দিয়ে গেলাম                                   অনেক দিন আগের কথা। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের নীল পানিতে নীল জেলের বাস ছিল। তার নাম নীল কেন রাখা হয়েছে তা কেউ জানতনা। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে নীল জেলের বেঁচে থাকার মাঝে প্রকৃতির কত নীলেরই সমাগম হয়েছিল। ছোট্ট নীল জেলে প্রতিদিনই তার বাবাকে মাছ ধরতে সাহায্য করতে সাগরে আসত। সে খুব উদার ছিল। বাবার অলক্ষে অনেক বাচ্চা মাছকেই সে পানিতে ছেড়ে দিত। বাবার জালে আটকে থাকা মাছগুলোকে দেখে তার অনেক কষ্ট হত। কেমন ছট্ ফট্ করত ওগুলো। একদিন হল কি, নীল জেলের বাবার জালে একটা কচ্ছপ আটকা পরল। কচ্ছপরা সব সময় ভান ধরে থাকতে পছন্দ করে। জালে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিও মরার মত চুপটি মেরে রইল। নীল জেলের বাবা সেতিকে মরা মনে করে নৌকাতেই ফেলে রাখল। এদিকে কচ্ছপ ছানার যায় যায় অবস্থা। পানি ছাড়া আর কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়। সেদিন নীল আকাশের প্রখর সূর্যটা একটুকুও বিশ্রাম নিচ্ছিলনা। প্রচণ্ড রোদে কচ্ছপ ছানার শরির শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবার যোগার। কচ্ছপ ছানা দূর্বল হয়ে গেলেও বুদ্ধি লপ পায়নি। সে অনেকক্ষন ধরেই খেয়াল করছিল নীলের কান্ড কারখানা। সে বাবার জাল থে
Image
এক বুদ্ধিমান কুকুরের গল্প   একজন বিত্তবান লোক সিদ্ধান্ত নিলেন, শিকারের উদ্দেশ্যে আফ্রিকায় কিছুদিনের জন্য ঘুরে আসবেন। তাই তিনি একমাত্র সহকারী হিসেবে তার বিশ্বস্ত কুকুরটিকে নিয়ে বের হয়ে পড়লেন। একদিন কুকুরটি একটা প্রজাপতিকে খেলাচ্ছলে তাড়া করতে করতে হটাৎ লক্ষ্য করল যে সে তার বাসস্থান থেকে অনেক দূরে চলে এসেছে এবং পথ হারিয়ে ফেলেছে। তাই সে পথভ্রষ্ট হয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছিল। এমতাবস্থায় হটাৎ সে খেয়াল করল একটা চিতা মধ্যাহ্নভোজের উদ্দেশ্যে তার দিকে ক্ষিপ্রবেগে ছুটে আসছে। কুকুরটা নিজের মনে মনে ভাবল “মহা বিপদে পড়লাম দেখি!” তারপর সে খেয়াল করল পাশেই মাটির উপর কিছু হাড় পরে আছে। তৎক্ষনাৎ সে হাড়গুলোর কাছে গেল এবং তার দিকে আসা চিতার দিকে পিছন ফিরে হাড়গুলো চিবোতে শুরু করল। ঠিক যখন চিতাটা লাফ দিয়ে তাকে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঠিক তখনি কুকুরটা জোড়ালো কন্ঠে বলা শুরু করল- “চিতাটা তো খুব-ই মুখরোচক, মনে হয় এদিকে আশেপাশে খুজলে এরকম আরও পাওয়া যাবে।” বলার সাথে সাথে সে একটা জোরালো ঢেকুর ছাড়লো। এই কথা শোনার চিতাটা তার আক্রমনে দ্রুত বিরতি দিল, দেখে ম
Image
আশা নামের আলোটি কে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয় একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতি গুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো। প্রথম মোমবাতি টি বললো, ‘আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে যাবো।’ তারপর সেটি নিভে গেলো। . দ্বিতীয় মোমবাতি টি বললো, ‘আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন নিভে যাবো’। কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতি টি নিভে গেলো। . তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো, আমি ভালবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মত শক্তি নেই। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।" কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতি টিও নিভে গেলো। . কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চা টি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো, তোমরা জ্বলছো না কেন? . তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো। তারপর বাচ্চা টি কাঁদতে শুরু করলো। এবার চার নম্ব
Image
সব কিছুরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিক থাকে এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা আল্লাহ যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।” একবার রাজা সেই চাকর সহ শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল হারান। রাগে- যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষিপ্ত হয়ে চাকরের উদ্দেশ্য করে বলেন “আল্লাহ যদি ভালোই হবেন তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।” চাকর বলল, “এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব আল্লাহ সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজই করেন; কোনো ভুল করেন না।চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন। এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত। রাজা কে বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে ম
Image
এক রাজা ও তার বিশ্বস্ত কর্মচারী! এক দেশের এক রাজা ছিল খুবই কঠোর প্রকৃতির।তার রাজকার্য পরিচালনার জন্য নিয়োজিত ছিল অগনিত রাজ-কর্মচারী।এতোগুলো কর্মচারীর ভিতর তার কোনো কর্মচারী যদি তার রাজকার্য করতে গিয়ে কোনো ভুল করতো, তাহলে তিনি তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতেন।তার কাছে ভুলের কোনো হ্মমা নেই। রাজার এক বিশ্বস্ত কর্মচারী প্রায় ১০ বছর ধরে তার রাজকর্ম পালনের জন্য নিয়োজিত ছিল।একদা তার এ বিশ্বস্ত কর্মচারী তার আদেশ পালনে ভুল করে বসলো।কর্মচারী তার ভুলের জন্য রাজার কাছে খুবই আকুতি করলো।কিন্তু রাজার কাছে তো ভুলের কোনো হ্মমা নেই। ফলস্বরুপ রাজা তার দেহকে কুকুর দিয়ে ভহ্মন করানোর জন্য প্রহরীদেরকে আদেশ করলো।কর্মচারীকে হত্যা করার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলো।কর্মচারী যখন দেখলো যে, তার আর রহ্মা নেই,তখন সে রাজার কাছে শুধু তার একটি ইচ্ছা পূরন করার জন্য ফরিয়াদ জানালো। ফরিয়াদটি হলো যে, হুজুর আমাকে মাত্র ১০দিন সময় দিন,আমি এই ১০ দিন কুকুরগুলোকে মনের মতো পেট পুরে খাওয়াবো।তখন রাজা তার এ কথা শুনে বললো যে,যেহেতু তুমি আমার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী ছিলে তাই তোমাকে এই ১০ দিন সময় দেয়া হলো।কিন্তু মনে রে
Fiction : THE TELL-TALE HEART                  By : Edgar Allan Poe সত্যি! – নার্ভাস — ভীষণ নার্ভাস আমি ; কিন্তু কেন তুমি আমাকে পাগল বলবে ? এই রোগ আমার অনুভুতিকে আরও তীক্ষ্ণ করেছে – ধ্বংস করে নি – অনুভূতিহীনও করে নি । আমার ইন্দ্রিয়সকলের মধ্যে শ্রবণ অনুভুতি সবচেয়ে ভালো কাজ করছে । আমি সব কিছু শুনতে পারছি , এই পৃথিবীর কোনায় কোনায় যে সব কথাবার্তা হচ্ছে সব শুনতে পারছি , পৃথিবীর ওপারের শব্দও কানে ভেসে আসছে । শুনো ! খেয়াল করো পুরো বিষয়টা – কতো ভালোভাবে আমি পুরো গল্পটা তোমাদেরকে বলছি । কিভাবে এই ব্যাপারটা মাথায় এসেছে তা আমার পক্ষে বলা অসম্ভব । কিন্তু এটি আমাকে দিন রাত আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো । কোন কারন ছিল না সেখানে । আবেগও ছিল না । আমি এক বৃদ্ধকে ভালবাসতাম । তিনি আমার সাথে কোনদিন ভুল কিছু করে নি । আমাকে কোনদিন অপমানও করে নি । তাঁর দামি কোন জিনিষের প্রতি আমার কোন লোভ ছিলো না । সেটি ছিল তাঁর চোখ। হ্যাঁ , এটিই । তাঁর শকুনের চোখ ছিল , ফিকে নীল ঘোলাটে রঙের চোখ । যখন তাঁর চোখ আমার উপর পড়তো , আমি রক্ত হিম হয়ে যেতো । ধাপে , ধাপে – আস্তে আস্তে – আমি লোকটির জীবন কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই । এ
Story  Name  : HEARTACHE  (হার্টটেক ) Written   by     : Anton Chekhov “আমার কষ্টের কথা কার কাছে বলবো ? ” গোধূলি সন্ধ্যা । রাস্তার বাতির চারপাশে হাল্কা তুষারের কণা বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে ,বরফগুলো সবে মাত্র গলতে শুরু করেছে , ঘোড়ার পিঠে , ঘাড়ে , মাথায় পাতলা বরফের আবরণ পড়েছে । স্লেজ চালক , আইওনা পটাপভ পুরো ভুতের মতন সাদা । সে স্লেজের স্টিয়ারিংকে নিজের শরীরের সাথে পেঁচিয়ে বক্সের উপর বসে থাকে । যদি তুষার তাঁর গায়ের উপরও পড়ে তাহলে সে স্টিয়ারিং নাড়াতে চিন্তাও করে না । তাঁর ছোট ঘোড়া দেখতে সাদা , চুপচাপ । তাঁর স্তব্ধতা , দৌড়ানো , কাঠির মতন চালচলন দেখতে আধাপয়সার কাঠের ঘোড়ার মতন মনে হয় । সে তাঁর চিন্তার মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকে । তাঁকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কেউ যদি ডোবায় নিক্ষেপ করা হয় , তারপরেও সে মুখ থেকে আওয়াজ করবে কিনা সন্দেহ । আইওনা এবং তাঁর ঘোড়া যে বের হয়েছে অনেকক্ষন হলো । দুপুরবেলার আগেই তারা এক গজ পথ পাড়ি দিলো , কিন্তু একটা ভাড়াও পেলো না । কিন্তু এখন সন্ধ্যার ছায়া শহরে পড়ছে । মিটির মিটির করে জ্বলতে থাকা রাস্তার বাতিগুলো স্পষ্ট হচ্ছে , মানুষের ছোটাছুটি আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে । “স্লেজ