দুই বন্ধুর মরুভূমি দিয়ে হেঁটে যাওয়া দুই বন্ধু মরুভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। কিছুক্ষন যাত্রার পর তাদের দুইজনার মধ্যে ঝগড়া হয় এবং এক বন্ধু আরেকজনকে থাপ্পড় মেরে বসে। যে থাপ্পড় খেয়েছিল সে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলল না, শুধু বালিতে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমাকে চড় মেরেছে”। এরপর তারা হাঁটতে থাকল এবং কিছুক্ষন পর একটি মরুদ্যান দেখতে পেল। তারা ঠিক করল সেখানে তারা বিশ্রাম নিবে এবং গোসল করবে। কিন্তু যেই বন্ধুটি চড় খেয়েছিল সে চোরাবালিতে আটকে পরে ডুবতে শুরু করে, তখন অপর বন্ধুটি তাকে বাঁচায়। উদ্ধার পাওয়ার পর সে পাথরে লিখে রাখল “আজকে আমার সবথেকে প্রিয় বন্ধু আমার জীবন বাঁচিয়েছে”। তখন অপর বন্ধুটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, আমি যখন তোমাকে চড় মেরেছিলাম তখন তুমি বালির উপর লিখেছিলে আর এখন পাথরের উপর লিখলে, কেন?” উত্তরে সে বলল, “যখন কেউ আমাদের আঘাত করে তখন তা আমাদের বালির উপর লিখে রাখা উচিত, যেন ক্ষমার বাতাস তা সহজেই উড়িয়ে নিয়ে মুছে দিতে পারে। আর যখন কেউ আমাদের কোন উপকার করে তখন তা পাথরে খোদাই করে রাখা উচিত, যেন কোন বাতাসই তা কখনো মুছে দিতে না পারে”।
Posts
- Get link
- X
- Other Apps
সবাই কে এক পালায় মাপা উচিত নয় আমি ছ্যাকা খেয়ে দুই দিন মন খারাপ করে ছিলাম । আমার মনে হচ্ছিলো আমি বুঝি কষ্টে মরেই যাবো । এতো এতো কষ্ট পেয়েছিলাম । বাঁচলাম কি করে ? আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবী আমাকে ভাইয়া বলে খুব সমীহ করতো । ঐ ফোন দিয়ে শান্তনা দিতো আমাকে । কথায় বলেঃ এক নারী জাহান্নামে নিতে পারে ,আবার আরেক নারী পারে জান্নাতে নিতে । আমার গার্ল ফ্রেন্ডের বান্ধবীর নাম ছিলো মিতু । তার একটি কথাই আমাকে বদলে দিয়েছিলো । সে বলেছিলো ভাইয়া আপনি যদি মন খারাপ করে থাকেন তবে একদিন আপনি ল্যাপস হয়ে যাবেন । আপনি যদি ল্যাপস হয়ে যান তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে হাসবে । এবং সে বলবে উফ খুব বাঁচা বেঁচে গেছি । ঐ ছেলের সাথে থাকলে আজ আমার করুণ পরিণতি হতো । অর যদি আপনি নিজেকে খুব ভালো ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন তবে সে দূর থেকে আপনাকে দেখে খুব আফসোস করবে । আর বলবে হায় আল্লাহ আমি ভুল করেছি ! মিতুর এই একটি কথাই আমার চেতনাকে উজ্জীবিত করেছিলো । মিতুর কথার ভিতর কি একটা যেনো জাদু ছিলো । মিতুকে আমি বোন ডাকতাম । আমি যখনি দৌড়াতে দৌড়াতে হাফিয়ে উঠতাম ঠিক তখনি মিতু আপুর কথা আমার কানে বাজতো । আমি যেনো তখ
- Get link
- X
- Other Apps
অসহায় ভালবাসা একদা জীবনের সব আবেগ অনুভূতিগুলো ((ভালোবাসা, কষ্ট, সুখ, অহমিকা, ঐশ্বর্য্য, জ্ঞান এবং সময়)সমূদ্রের এক দ্বীপে অবসরে ভ্রমনে গেলো। তারা তাদের নিজেদের মতই ভালো সময় কাটালো। হঠাত করে ঝড়ের পূর্বাভাস ঘোষনা করা হলো এবং দ্বীপটি খুব দ্রুত খালি করতে বলা হলো। ঘোষনার সাথে সাথে সবার মাঝে ঘরে ফেরার তাড়া শুরু হয়ে গেল। সবাই নৌকার দিকে ছুটলো, খারাপ নৌকাগুলোও দ্রুত ভালো করা হলো। এতকিছু পরও ভালোবাসা দ্রুত দ্বীপটি ছেড়ে যেতে অনীহা দেখালো। তখনই অনেক কিছু করার বাকি ছিলো। আকাশে হঠাত কালো মেঘ জমতে শুরু করলো। তখন ভালোবাসা বুঝতে পারলো যে দ্বীপটি দ্রুত ত্যাগ করার সময় এসে গেছে। কিন্তু ততক্ষনে সব নৌকা ছেড়ে চলে গিয়েছে। ভালোবাসা চারদিকে আশা নিয়ে তাকালো। তখনই ঐশ্বর্য পাশ দিয়ে একটি আলিশান নৌকায় করে যাচ্ছিলো, ভালোবাসা চিতকার করে বললো ঐশ্বর্য আমাকে কি তোমার নৌকায় নিতে পারবে? ঐশ্বর্য বললো না, আমার নৌকা মূল্যবান সম্পদে পরিপূর্ণ, সোনা, রূপা দিয়ে ভর্তি সেখানে তোমার জন্য কোন জায়গা খালি নেই। খানিকপরে অহমিকা যাচ্ছিলো একটি সুন্দর নৌকায় চড়ে। ভালোবাসা চিতকার করে বললো, তুমি কি আমাকে সাহায্য করতে পারবা? অহমিকা
- Get link
- X
- Other Apps
একজন টিচার তার ছাত্র-ছাত্রী একজন টিচার তার ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল। তারা যখন ঘুরতে বের হল তখন এমন একটা পরিবার দেখতে পেল যার সদস্যরা একে অপরের সাথে চিৎকার করে ঝগড়া করছিল। শিক্ষক তার ছাত্র- ছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন… ‘‘তোমাদের কি ধারনা? মানুষ যখন রেগে যায় তখন একে অপরের সাথে চিৎকার করে কথা বলে কেন?’’ শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষন চুপ করে ভাবলো, তারপর একজন উত্তর দিল,’কারন আমরা তখন মনের শান্তি হারিয়ে ফেলি এবং চিৎকার করি।’’ শিক্ষক প্রশ্ন করলো,‘‘কিন্তু আমরা চিৎকারই বা করি কেন? যাকে আমরা রাগ দেখাই সে তো আমাদের সামনেই আছে, তাকে যা বলার তাতো আমরা শান্ত ভাবেও বলতে পারি।’’ ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই উত্তর দিল, কিন্তু তারা কেউই তাদের নিজেদের উত্তরেই সন্তুষ্ট হতে পারলো না। শেষে শিক্ষক তাদের ব্যাখ্যা করলো, ‘‘যখন দুইজন মানুষ একজন আরেক জনের সাথে রাগারাগি করে তখন তাদের হৃদয়ের মধ্যকার দূরত্ব বেড়ে যায়। এই দূরত্বের জন্য তারা চিৎকার করে কথা বলে, যাতে একে অপরের কথা বুঝতে পারে। তারা যত বেশি রেগে যায় এই দূরত্ব তত বেশি বেড়ে যায়, আর তখন তারাও তত বেশি চেঁচামেচি করে
- Get link
- X
- Other Apps
প্রয়োজন ফুরালে কি আশ্রয় বৃদ্ধাশ্রম? একটা গল্প , হয়ত আমরা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা। দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, "বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?" "তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো", বাবা উত্তর দেয়। "কেন?", ছেলেটা অবাক হয়। "কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে? তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। " "ওহ!", কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, "ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে। "কেন", একটু অবাক হয় বাবা। "কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা।
- Get link
- X
- Other Apps
এক যাদুকর ও এক মেয়ের গল্প পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিল একটি জাদুকর । হঠাত তার চখে পরল একটি যুবতি মেয়ে কাঁদছে । তাই দেখে জাদুকর বলল- জাদুকরঃ আপনাকে কোন ভাবে সাহায্য করতে পারি ? মেয়েটিঃ আমাকে সাহায্য করতে পারে শুধু অলৌকিক কোন ঘটনা ! জাদুকরঃ অলৌকিক ঘটনা ! এ তো আমার আওতায় । আমি জাদুকর, আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরন করতে পারব । বলুন এক এক করে । মেয়েটিঃ আমি রূপবতী নই ।কিন্তু জানেন এত ইচ্ছা করে যেন পুরুষেরা আমাকে দেখেই পাগল হয়ে যায় ! জাদুকর তার একটি দাড়া ছিরে তার মন্তর পরতে লাগল । সাথে সাথে মেয়েটির ইচ্ছা পূরন হয়ে গেল । তার পরের ইচ্ছা বলার জন্য বলা হল । মেয়েটি বলল- মেয়েটিঃ শুধু সৌন্দর্য দিয়ে কি হবে ! আমার অর্থ সম্পদ নেই, নেই নিজের বাড়ী । আমাকে কে পছন্দ করবে ? জাদুকর তার জন্য শহরের মাঝখানে একটি রাজপ্রাসাদ বানিয়ে দিল । এবার শেষ ইচ্ছার পালা । মেয়েটি কে বলা হল তার শেষ ইচ্ছার কথা বলতে । এবার মেয়েটি ভাবতে লাগল এই জাদুকর কে যদি আমি বিয়ে করি তাহলে আমি ৩ টি জিনিস কেন সারা জীবন যত খুশি চেয়ে নিতে পারব । এবার মেয়েটি বলল- মেয়ে: আমার শেষ ইচ্ছা তোমায় আমি বিয়ে করব । এ কথা শুনে জাদুকর পরল মহা বিপ
- Get link
- X
- Other Apps
কোন কিছু দেখেই প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না স্বামী আর স্ত্রী বেড়াতে গেল চিড়িয়াখানায়। তারা দেখল একটি বানর তার সঙ্গীনির সাথে খেলছে, খুনসুটি করছে। স্ত্রী দৃশ্যটা দেখে মুগ্ধ হয়ে স্বামীকে বলল: কী চমৎকার ভালোবাসার দৃশ্য! এরপর তারা গেল সিংহদের খাঁচার কাছে। দেখল: সিংহ খাঁচার একপাশে চুপচাপ বসে আছে। সিংহীটাও অদূরে অন্য দিকে ফিরে বসে আছে। স্ত্রী দেখে বলল: আহ! ভালোবাসার কী নির্মম পরিণতি! স্বামী এতক্ষণ চুপচাপ স্ত্রীর পাশে হাঁটছিল। এবার নীরবতা ভঙ্গ করে বললেন: ধরো! এই কাঁচের টুকরাটা সিংহীর দিকে ছুঁড়ে মারো, আর দেখো কী ঘটে! মহিলাটি যখন কাঁচের টুকরোটা ছুঁড়ে মারল, সিংহ ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। সঙ্গীনিকে বাঁচানোর জন্য গর্জে উঠল। এবার মেয়ে বানরটার দিকে ছুঁড়ে মারো। দেখ কী ঘটে। পুরুষ বানরটার আচরণ লক্ষ্য কর। স্ত্রী কাঁচের টুকরোটা বানরীর দিকে ছুঁড়ে মারল। দেখা গেল ছুঁড়ে মারার আগেই বানরটা আত্মরক্ষার্তে ছুটে পালিয়ে গেল। সঙ্গীনির দিকে ফিরেও তাকাল না। স্বামী বলল: মানুষ তোমার সামনে যা প্রকাশ করে তা দেখে প্রভাবিত হয়ে যেয়ো না। অনেক মানুষ আছে যারা তাদের বানোয়াট লোক দেখানো আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে অন্যকে